রংপুরে পিসিআর মেশিন নষ্ট, একমাস করোনা পরীক্ষা বন্ধ
রংপুর মেডিকেল কলেজে করোনার নমুনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন একমাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে বন্ধ হয়েছে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন থেকে করোনা পরীক্ষার বুথ চালু থাকলেও সেখানে কেবল চলছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। ফলে বিশেষ প্রয়োজনে করোনা পরীক্ষা করতে এ অঞ্চলের মানুষকে ছুটতে হচ্ছে দিনাজপুর অথবা বগুড়া মেডিকেলে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন করোনা পরীক্ষা করতে ইচ্ছুক মানুষ।
সোমবার (৯ মে) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একমাস ধরে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
করোনার নমুনা সংগ্রহের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে পুরাতন সিভিল সার্জন ভবনে বুথ স্থাপন করা হলেও সেখানে কেবল র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে।
রংপুরে নগরীর সাগরপাড়ার আলতাফ হোসেন জানান, বিশেষ প্রয়োজনে তার ১৪ বছর বয়সী ছেলের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে তাকে দিনাজপুর মেডিকেলে যেতে হয়েছে। এতে করে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হয়েছে তার।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চামটাহাট এলাকার ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে জানান, চিকিৎসার জন্য তার মেয়ে রিয়াকে (১৪) নিয়ে ভারত যেতে ইতোমধ্যে ভিসার কাজ সম্পন্ন করেছেন। স্কুল থেকে দুই ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হলেও কোনো সনদ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ সনদ সংগ্রহ করতে হলে এ অবস্থায় পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজে পিসিআর মেশিন নষ্ট থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় তাকে দিনাজপুর অথবা বগুড়া মেডিকেলে যেতে হবে।
ওই এলাকার সুভাষ চন্দ্র বলেন, রোববার (৮ মে) চিকিৎসার জন্য ১৩ ও ১৫ বছর বয়সী তার দুই নাতিকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য পোর্টে গেলেও করোনার নেগেটিভ সনদ না থাকায় ফিরে আসতে হয়েছে। এখন করোনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা সংগ্রহকারী নোমান জাগো নিউজকে বলেন, মেশিন নষ্ট হওয়ায় আপাতত নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। ঈদের পর চালু হওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ হবে তা নিশ্চিত না।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান ইবনে তাজ জাগো নিউজকে বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে পুরাতন সিভিল সার্জন ভবনে বুথ চালু করা আছে। সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হচ্ছে। আগে নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখন মেশিন নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
এ অবস্থায় পিসিআর ল্যাবে যাদের পরীক্ষার দরকার তারা সুবিধাজনক জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা করছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল চন্দ্র রায় জাগো নিউজকে বলেন, একমাস ধরে পিসিআর মেশিন নষ্ট। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কবে নাগাদ মেশিন ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।
জিতু কবীর/এফএ/জেআইএম