ফরিদপুরে তেল মজুত রাখায় লাখ টাকা জরিমানা, বন্ধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ৪ হাজার লিটার বোতলজাত ও ৮০০ লিটার ড্রামভর্তি খোলা সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তেল মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার টাকা।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ফরিদপুর ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সোহেল। পরে বোতল
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর পৌর শহরের শাভোরামপুর এলাকার ব্যবসায়ী কানাই লাল পোদ্দারের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় গোডাউন থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৪ হাজার লিটার বোতলজাত ও ড্রামভর্তি ৮০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।
ফরিদপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে আমরা হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারে কানাই লাল পোদ্দারের দোকানে অভিযান চালাই। সেখানে তেল না পেয়ে তার গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৮০০ লিটার তেল পাই।
তিনি আরও বলেন, সব তেল অনেক আগে মজুত করা। কারণ প্রতিটি বোতলে আগের দাম উল্লেখ করা আছে (৫ লিটারের বোতলে দাম লিখা ছিল ৭৬০ টাকা)। তেল পাওয়ার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালীকে খবর দেওয়া হয়। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইউএনও লিটন ঢালী জাগো নিউজকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে তেল মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে তিনি যদি এমন কাজ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা দেন তাহলে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মজুত রাখা তেল উপস্থিত জনতার মধ্যে বোতলে লিখা দামে (৫ লিটারের বোতলে দাম লিখা ছিল ৭৬০ টাকা) বিক্রি করা হয়।
এন কে বি নয়ন/এসজে/জেআইএম