এক কক্ষে তিন ক্লাসের পাঠদান!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ১৫ মে ২০২২

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্বচর দপদপিয়া আমেনা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, এক কক্ষে চলে তিন শ্রেণির পাঠদান।

শনিবার (১৪ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ওই স্কুলে কাগজে-কলমে পাঁচজন শিক্ষক থাকলেও উপস্থিত ছিলেন তিনজন। বিদ্যালয় চলাকালীন দুটি কক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। তালায় মরিচা ধরেছে। এতে ধারণা করা যায় সম্প্রতি খোলা হয়নি ওই কক্ষ দুটি।

পঞ্চম শ্রেণির কক্ষেই তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বসা ছিল। তারা কক্ষে হইচই করলেও অফিস কক্ষে তিনজন সহকারী শিক্ষক খোশগল্পে ব্যস্ত ছিলেন।

উপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, একজন সহকারী শিক্ষক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য ছুটিতে রয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের কাজে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) সঙ্গে বাইরে আছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের তথ্য পূরণের কাছে বাইরে ছিলাম। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা মাত্র ২৮ জন। তৃতীয় শ্রেণিতে রয়েছে একজন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংখ্যা কম হওয়ায় বিদ্যালয়ের এক কক্ষে তিন শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়েছে।’

তবে বিদ্যালয়ে এত কম শিক্ষার্থী কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জলিলুর রহমান আমার সঙ্গে ছিলেন না। তবে তিনি স্কুলের তথ্য সংগ্রহের কাজে বাইরে ছিলেন বলে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন।

এক কক্ষে তিন শ্রেণির পাঠদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করা যাবে না। এক শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থী থাকলেও তাকে আলাদা পাঠদান করাতে হবে।’

এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এক কক্ষে তিন শ্রেণির পাঠদানের বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।