‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে বলা মানে সরাসরি হত্যার হুমকির শামিল’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ১৯ মে ২০২২
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

পদ্মা সেতু ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এসব কথা বলতে পারেন না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীকে এভাবে বলা মানে সরাসরি হত্যার হুমকির শামিল। সেতু থেকে ফেলে দেওয়া— এটা কখনো স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না। তার এই উক্তির জন্য আমরা প্রচণ্ড নিন্দা জানাই এবং এ রকম অরাজনৈতিক, অশালীন বক্তব্য কখনও আশা করি না। এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, না হলে এ ধরনের উক্তির জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেল ৩টায় শহরের বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি—এমন অভিযোগের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো নির্বাচন লুট করে নিয়ে যায়। বিদেশিদের সঙ্গে তারাই যোগাযোগ করেন। আমেরিকায় গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাহায্যে চেয়েছেন বিএনপিকে ভোটে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। আমরা বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি না, তারাই যোগাযোগ করেন। তার অনেক প্রমাণ রয়েছে।’

পদ্মা সেতু কারও বাপের টাকায় তৈরি না মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। এখানেও তারা লুটপাট করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৪০ হাজার কোটি টাকায় করেছেন।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল জব্বার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের শুরুর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ মে) প্রধানমন্ত্রী তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। কারণ স্প্যানগুলো যখন বসানো হচ্ছিল, সেটা তার কাছে জোড়াতালি মনে হয়েছিল। বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসরও (এভাবে বলেছিল)। তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া উচিত।’

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।