ব্রিজের মালামাল বিক্রি করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ২৪ মে ২০২২
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বিরুদ্ধে দুটি লোহার ব্রিজের পুরোনো মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩ মে) দুপুরে বিক্রি করা মালামাল ট্রাকে নেওয়ার সময় আটক করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খানের বাড়ি থেকে পুরাতন দুটি লোহার ব্রিজের মালামাল ট্রাকে নেওয়া হচ্ছিল। সন্দেহ হলে ঝালকাঠি সদর থানায় জানান তারা। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খোকন হাওলাদার ও এসআই মো. সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকসহ মালামাল জব্দ করে।

ওই মালামাল ক্রেতা মনসুর হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার খান কিছু পুরাতন ব্রিজের লোহার ভীম ও অ্যাঙ্গেল বিক্রির কথা জানান। পরে তার সঙ্গে ৬৭ হাজার টাকায় দাম চূড়ান্ত হয়। কোনো সমস্যা হলে তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। সোমবার সকালে ট্রাক ভাড়া করে তার বাড়ি গিয়ে টাকা দেই। পরে মালামাল ট্রাকে উঠিয়ে দুপুর ১টার দিকে রওয়ানা হলে স্থানীয় লোকজন গাড়ি আটকায়। তখন আমি চেয়ারম্যানের কথা জানাই এবং তার মোবাইলে ফোন করি। তিনি বিষয়টি দেখতেছি জানিয়ে ফোন কেটে দেন। এখন তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ওই ট্রাকের চালক জানান, পোনাবলিয়া থেকে বরিশাল মালামাল নিতে ভাঙারি ব্যবসায়ী মনসুরের সঙ্গে ৪ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী ট্রাক নিয়ে পোনাবালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খানের বাড়ি সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে রাখা লোহার মালামাল উঠিয়ে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলাম।

ব্রিজের মালামাল বিক্রি কর দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী সদর থানার এসআই খোকন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১টি রড ও ৫টি ছোট ভিম, ২০টি অ্যাঙ্গেল বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহীন ও ইউপি সদস্য নান্না মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘লালমন আলমগীরের বাড়ির সামনে ও নয়ার খালের ওপর নতুন ব্রিজ নির্মাণ হয়। সেখান থেকে পুরাতন লোহার ব্রিজ দুটির মালামাল চেয়ারম্যান পরিষদে না রেখে তার বাড়িতে নিয়ে যান। পরিষদকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান এসব মালামাল কীভাবে বিক্রি করলেন সেটা তিনিই জানেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি কোনো ব্রিজের মালামাল বিক্রি করিনি। কোথায় কী পাওয়া গেছে তা আমার জানা নেই। আমার বাড়িতে এ মালামাল পাওয়া যায়নি। আমার আগে একাধিক চেয়ারম্যান ছিল। তাদের কারও নাম ট্রাকচালক বলেছে কি-না জেনে দেখুন।’

আতিকুর রহমান/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।