সীতাকুণ্ডে নিহত ৯ দমকলকর্মীর দুজন রাঙ্গামাটির
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত নয় দমকলকর্মীর মধ্যে দুজন রাঙ্গামাটির।
নিহতরা হলেন- মিঠু দেওয়ান (৫০) ও নিপন চাকমা। এর মধ্যে মিঠু ফায়ার সার্ভিস কুমিরা শাখায় আর নিপন সীতাকুণ্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার (৪ জুন) দিনগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম ও আশপাশের সব ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে নয়জন দমকলকর্মী নিহত হন। আরও বেশ কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ (সিএমএইচ) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মিঠু দেওয়ানের ভাই টিটু দেওয়ান বিকেল ৪টায় বলেন, ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে খবর দেওয়ার পর রোববার সকালে আমার ছোট ভাই ও খালা চট্টগ্রাম মেডিকেলে গেছেন। ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আমাকে একটি ছবি পাঠিয়েছের, আমি বলেছি এটাই আমার ভাই। হাসপাতালে যাওয়া আমার ছোট ভাইও তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তাকে রাঙ্গামাটি নিয়ে আসা হবে।
এদিকে, নিপনের ছোট ভাই খোকন বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের নামের তালিকায় আমার ভাইয়ের নাম আছে। কিন্তু আমরা এখনো তার মরদেহ শনাক্ত করতে পারিনি।
তবে নিপনের সহকর্মী লিটন চাকমা জানান, নিপন পদোন্নতি পেয়ে কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দেন। কুমিরা সীতাকুণ্ডের পাশে। শনিবার অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান তিনি।
রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় আমাদের মারা যাওয়া সদস্যরা পুড়ে যাওয়ায় কারও মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভানোর কাজে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা দায়িত্বরত ছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে তারাও রয়েছেন। হয়তো ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা মারা গেছেন কি না তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
রফিকুল ইসলাম জানান, মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিস কুমিরা শাখায় আর নিপন চাকমা সীতাকুণ্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মিঠু রাঙ্গামাটি জেলা শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল এলাকার বাসিন্দা ও নিপন কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা।
শংকর হোড়/এমআরআর/জেআইএম