পদ্মা সেতু অপমানের প্রতিশোধের প্রতীক: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তব। এই সেতু শেখ হাসিনার স্বপ্নের সেতু। এই সেতু আমাদের সামর্থ্য-সক্ষমতার সেতু। এই সেতু একদিকে সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক, অন্যদিকে আমাদের যে অপমান করা হয়েছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধের প্রতীক।
রোববার (১২ জুন) বিকেলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া পরিদর্শনে এসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কানাডার আদালত রায় দিলো পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। নির্দোষ বলে কানাডার আদালত রায় দিলো। বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যায়। প্রধানমন্ত্রী সেতু ঘোষণার পর এই সেতু করতে কত যে ঝুঁকি আমাদের নিতে হয়েছে...সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করেছে উভয় পাড়ের জনগণ। তাদের প্রতি ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতা জানাই। যতই সমালোচনা হয়েছে আমাদের মনোবল আরও দৃঢ় হয়েছে।’
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে সবাইকে ইনভাইট করবো। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, প্রফেসর ইউনূস থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া সবাইকে ইনভাইট করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, সক্রিয় ও ম্যানুয়ালি দুই প্রক্রিয়ায় টোল আদায় করা হবে। এছাড়া সেতুর স্থায়িত্বকাল ১০০ বছর বলেও জানান তিনি।
সেতু চালু হলে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ পড়বে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সংশয় ছিল। সেটা যখন আমরা করতে পেরেছি এসব চাপও সহ্য করতে পারবো। ২৬ তারিখ (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে গাড়ি চলাচল করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/এএসএম