পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২১ জুন ২০২২

সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার আজ পাঁচ দিন। এখনও খেয়ে না খেয়ে পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে মানুষ। তবে আশার কথা শহরের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ঘাট থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন যেখানে নৌকার অভাবে কেউ যেতে পারেননি এখন সড়ক দিয়েই সেখানে যাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সোমবার বিকেলে শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ শহরসহ তলিয়ে যায় ১২টি উপজেলা। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েন ১২ লাখেরও বেশি মানুষ। যা অতীতের সব বন্যাকে হার মানিয়েছে।

বর্তমানে শহরের মূল সড়ক ও ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট, চলতে শুরু করেছে যানবাহন।

তবে দুর্ভোগ কমেনি বন্যা কবলিত মানুষের। তাদের মধ্যে রয়েছে হাহাকার, কান্না আর ত্রাণের জন্য আর্তনাদ।

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। অনেক জায়গায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে।

পানিবন্দি মানুষ জানান, দোকান পাট খুললে কী হবে, বন্যার সময় সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এটা নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। সরকারের অনেক সহযোগিতা করে শুনেছি কিন্তু আমরাতো কোনো সহযোগিতা এখনও পাইনি।

পানিবন্দি জমির মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচ দিন ধরে ভাত না খেয়ে আছি। শুধু শুকনা খাবার খেয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। তবে কষ্টের বিষয় কিছু দোকানি মোমবাতি ও মুড়ির দাম দ্বিগুণ করে দিয়েছে।

পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি সুনামগঞ্জে

পানিবন্দি জমসেদ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, শহরের পানি কমলে কী হবে, আমাদের দুর্ভোগতো কমেনি।

ওয়াসিম মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি সুনামগঞ্জে আসেন, দেখে যান আপনার দেশের মানুষ কতটা কষ্টে আছে। না খেয়ে আছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি এবং সব জায়গায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

লিপসন আহমেদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।