বরগুনায় মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ
নিষেধাজ্ঞার পর জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। ফলে বরগুনার উপকূলের মাছ বাজারগুলো ইলিশে সয়লাব। মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে ছোট-বড় সাইজের ইলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে দেখা যায় শহরের পৌর মাছের বাজারসহ আশপাশের বাজারে প্রচুরে ইলিশ আসছে।
স্থানীয় ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকায় ও ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে ইলিশ বিক্রি।

ইলিশ বিক্রেতা ফোরকান জাগো নিউজকে জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর থেকে মাছ বিক্রি করতে এসেছেন তিনি। মহিমুরের বাজারে আরও বেশি মাছ আসায় ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি। তাই বরগুনায় এসে এখন মাইকিং করে মাছ বিক্রি করছেন। মহিপুরের থেকে বরগুনায় ক্রেতা বেশি পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
মাইকিং শুনে মাছ কিনতে আসা জাফর তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, যতটা কম দামের আশায় এসেছি তেমন না। তবুও ৭০০ টাকা দরে তিন কেজি ইলিশ কিনেছি।

বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসির মার্কেটিং অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, গত দুই দিনে মৎস্য বাজারে ৩৮ হাজার ১৫ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার ২১৭ কেজি। অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ৭৯৮ কেজি। এক কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
/জেআইএম