২৫ বছর পর রায়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২২
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ চৌধুরী

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ এস এম নাসিম রেজার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরে আসেননি। পরদিন রাতে তার বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ৩ জানুয়ারি সকালে পাশের দত্তগ্রামের কাছে খোয়াই নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ৫ জানুয়ারি নিহত আব্দুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী সাহিদা চৌধুরী অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার ছিদ্দিকুর রহমান ও এসআই বাবুল চন্দ্র বণিক ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনাম খান চৌধুরী ফরিদ, এখলাছ মিয়া, ফজলুর রহমান, ফজলু মিয়সহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১৪ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে মারা যান। আদালত ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় ১৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সালেহ উদ্দিন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু উভয়পক্ষের উচ্চ আদালতে বিভিন্ন পিটিশনের কারণে মামলার রায় হতে বিলম্ব হয়েছে।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই আইনজীবী আরও বলেন, বাদীপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।