গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে, ফেরার পথে পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ১৬ আগস্ট ২০২২

চলন্ত গাড়ির দরজা খুলে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন নুরুজ্জামান (৩৮) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী। সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সেতুর ঢাকামুখি লেন থেকে ঝাঁপ দেন নুরুজ্জামান। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তার খোঁজ না পাওয়ায় মঙ্গলবার নদীতে অভিযান চালাচ্ছে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

মাওয়া নৌপুলিশ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কী কারণে তিনি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজ নুরুজ্জামানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের উর্মি গার্মেন্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।

নিখোঁজের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের বরাতে মাওয়া নৌপুলিশের ইনচার্জ ওহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু সমাধিতে। পরে সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়। পদ্মা সেতুতে ঢাকাগামী লেনটিতে কাজ চলছে যে কারণে গাড়ি ধীরগতিতে ছিল। নুরুজ্জামান পেছনের সিটে ছিলেন। হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে সঠিক কী কারণে তিনি ঝাঁপ দিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার অনিক জানান, নিখোঁজের সঙ্গে থাকা ব্যক্তি ফারুক জানিয়েছেন তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে গিয়েছিলেন। কী কারণে লাফ দিয়েছেন তার তদন্ত চলছে। সঠিক কারণটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিলো কিনা, কিংবা পারিবারিক কোনো কারণ অথবা কোনো বিষয়ে আক্ষেপ ছিল কিনা সেটা দেখা হচ্ছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং চলছে।

নৌপুলিশের ইনচার্জ ওহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে আরো জানান, খবর পাওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ সকাল থেকে আবারো অভিযান চলছে। নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে খোঁজ চালাচ্ছে। এছাড়া পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও সেতুর নিরাপত্তায় থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।