দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
৪০ শতাংশ ছাড়েও পর্যটক মিলছে না বান্দরবানে
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভ্রমণ খরচও বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে পর্যটনখাতে। সম্প্রতি বান্দরবানে পর্যটকের আগমন কমেছে। ৩৫-৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক মিলছে না আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বান্দরবান হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
তারা বলছেন, বছরজুড়ে কমবেশি পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত থাকে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়কন্যা বান্দরবান। অন্যান্য বছর এই মৌসুমে পর্যটক কম থাকলেও হোটেল খরচ মেটানো যায় কোনোরকমে। তবে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ার পর থেকে পর্যটকের আগমন কমে গেছে অনেকাংশে। ৩৫-৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক মিলছে না। ফলে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
হোটেল নীলাদ্রির মালিক সুজন দাস জাগো নিউজকে জানান, তার হোটেলে সবমিলিয়ে ১৮টি কক্ষ রয়েছে। গত এক মাসে গড়ে ১০ শতাংশ কক্ষ বুকিং পেয়েছেন। অথচ হোটেলে কর্মচারী রয়েছেন আটজন। বিদ্যুৎ, পানি ও আনুষঙ্গিক সবমিলিয়ে দৈনিক গড়ে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয় হোটেলের পেছনে। বর্তমানে যে সংখ্যক পর্যটক আসছেন তাতে তাদের লোকসান হচ্ছে।

হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো. জাফর জানান, পর্যটকবাহী গাড়িভাড়া, বাসভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে হারে দাম বেড়েছে তার প্রভাব হোটেল ব্যবসায়ীদের ওপরও পড়েছে। বান্দরবান হোটেল ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্য থেকে ৩০-৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েও ১০ শতাংশের বেশি পর্যটক পাচ্ছেন না। এতে হোটেল খরচও উঠছে না।
হোটেল নাইট হেভেনের ফ্রন্ট ডেক্স ইনচার্জ মো. শাকিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যবসা মৌসুম শুরু হওয়ার সময় এখন। তবে এই মুহূর্তে হোটেলে ১০ শতাংশের মতো গ্রাহক রয়েছে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বান্দরবান পর্যটনশিল্পে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বলে জানান আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘৩০-৪০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটকের দেখা নেই। দিন যতই যাচ্ছে লোকসান ও ব্যাংক ঋণের সুদ ততই বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না এলে এখানকার পর্যটনশিল্প হুমকিতে পড়তে পারে।’
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জেআইএম