সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, নাকাল কুড়িগ্রাম পৌরবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কুড়িগ্রাম পৌর শহরে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পৌরবাসী। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের এ দুর্ভোগ যেন রীতিমতো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পানি নিষ্কাশনে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপে না দেখে হতাশ ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জেলা মৎস্য অফিস সড়কসহ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সড়ক ও মাঠে জমে থাকে হাঁটু পানি। সদর হাসপাতাল মোড় সড়কটিতেও পানি জমায় সেবা নিতে আসা রোগীদের ভিজে হাসপাতালে যেতে হয়। এছাড়া পানির নিচে থাকা সড়কের খানাখন্দে মোটরসাইকেল, রিকশা চলাচলে ঘটে দুর্ঘটনা।

jagonews24

কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আলতাবুর রহমান বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বের হওয়ার একমাত্র গেটটি থাকে এক হাঁটু পানির নিচে। লুঙ্গি ছাড়া ইউনিফর্ম পরে বের হওয়ার সুযোগ থাকে না। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের এভাবে কষ্ট করে চলতে হয়।

হাসপাতাল মোড়ের বাসিন্দা মো. একরামুল হক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের ময়লা আবর্জনার স্তূপ পানিতে ভাসে। দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে শিশুরা দৌড়াদৌড়ি করে নানা অসুখে আক্রান্ত হয়। একারণে পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের নিয়ে ঘরে থাকতে হয়। পৌরসভায় অনেক অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

jagonews24

সদর হাসপাতাল গেটের সামনের দোকানি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃষ্টি এলেই সদর হাসপাতাল সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে এনসিডিটি ক্লিনিক পর্যন্ত হাঁটু পানি জমে থাকে। পানি নেমে যেতে ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগে। এসময়টা আমরা ব্যবসা করতে পারি না। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম বলেন, সরকারি বরাদ্দ না থাকায় পানি নিষ্কাশনে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। বরাদ্দ পেলে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে।

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।