পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপি ও যুবদলের ৭৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল আলম।
মামলা উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলন, সরদার তোফাজ্জল হোসেন লিয়াকত, সারোয়ার হোসেন কানন, সরদার মাহমুদুল হাসান ফোটন, অ্যাডভোকেট হান্নান, মুশফিকুর রহমান, মনির, সরদার শাহজাহান, ছোটন, সরদার মামুন, সাখাওয়াত হোসেন বকুল প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুন গুম ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সহ ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে রোববার দুপুরে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। অপরদিকে একই সময় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোয়া, মিলাদ ও গণভোজের আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
পাশাপাশি দুটি সভা হওয়ায় সহিংসতা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১টার দিকে হাফিজপুর গ্রাম থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে সামনে এগোতে থাকেন। মিছিলটি কিছুদূর এগোলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ ১০ পুলিশ সদস্য এবং ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে আটজন গুলিবিদ্ধ হন।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়। তাই মামলার এজাহারে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/এএসএম