মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকদের কর্মবিরতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিএফটি প্রতি এক টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও স্থলবন্দরের শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন বন্দরের লোড-আনলোড শ্রমিকরা। পরে তারা একটি মানববন্ধনে অংশ নেয়।

তারা জানান, বন্দরে লোড-আনলোড কাজে যুক্ত প্রায় ৭০০ শ্রমিক। এ শ্রমিকরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে থেকে আমদানি করা পণ্য গাড়িতে উঠানো-নামানোর কাজ করেন। দৈনিক হাজিরায় কাজ করা এ শ্রমিকরা প্রতি সিএফটি পাথর উঠাতে নামাতে মজুরি পান তিন টাকা। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে এক টাকা মজুরি বৃদ্ধি করে চার টাকা করার দাবিতে গেলও মাসে তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করে। কোনো সুরাহা না করায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি নাকুগাঁওয়ে কর্মরত লোড-আনলোড শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য। বেশ কিছুদিন ধর দফায় দফায় পত্র চালাচালির পর মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করেও এর সুরাহা মেলেনি। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মালিক সমিতি সময় নেয়। কিন্তু ওই সময় পার হয়ে গেলেও তারা কোনো প্রকার সুরাহা দেননি।

jagonews24

শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ে, কেবল বাড়ে না শ্রমের দাম। আমরা গত মাসে কয়েক দফায় মালিক সমিতির সঙ্গে বসেও কোনো সমাধান পাইনি। তাই আজ থেকে আমরা কর্মবিরতি শুরু করেছি।

শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলম মিয়া বলেন, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মালিকরা আমাদের কাছে সময় নিয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান দেয়নি। কবে নাগাদ সমাধান দিবে, সেটাও বলেনি। আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।

নালিতাবাড়ীর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ২০১৫ সালে নাকুগাঁওকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করে ১৮ পণ্য আমদানির তালিকায় দেওয়া হলেও এর মধ্যে অধিকাংশ পণ্যই আমদানিযোগ্য নয়। এ বন্দর দিয়ে শুধু পাথর আমদানি করা হচ্ছে।

ইমরান হাসান রাব্বী/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।