স্বর্ণের চেন-দুলের জন্য শিশুকে হত্যা, আলমারিতে মিললো মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
শিশু সায়মা আক্তারকে হত্যা করা হয়

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় সায়মা আক্তার (৮) নামের এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারি ভেতর রাখেন প্রতিবেশী।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী হানিফের বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিনা ও তার রিকশাচালক স্বামী হানিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সায়মা উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল থেকে ফেরার পর দুপুরে খেয়ে সায়মা খেলতে বের হয়। এ সময় তার গলায় স্বর্ণের একটি চেন ও কানের দুল ছিল। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে প্রতিবেশী হানিফের বাড়িতে গেলে তার মেয়ে রাইসা জানায়, তার মা সায়মাকে মেরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমারির ভেতর রেখে দিয়েছেন। আশপাশের লোকজন নিয়ে হানিফের ঘর থেকে সায়মার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। পরে তাদের গণাধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

সায়মার বাবা সারোয়ার হোসেনের দাবি, ‘মেয়ের গলায় স্বর্ণের চেন ও কানের দুল ছিল। সেলিনা কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় সে আমাদের বলে দিবে বলার পরে সেলিনা মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। মরদেহ বস্তাবন্দি করে আলমিরার ভেতরে রেখে দেয়। সেলিনার শিশু মেয়েই আমাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়।’

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে হত্যার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করা হয়।

সঞ্জিত সাহা/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।