বৃষ্টি-জোয়ারে মোংলায় ডুবলো ১৯২০ চিংড়ির ঘের, কোটি টাকা ক্ষতি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোংলায় এক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিরাজ করছে। টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে মোংলায় ডুবেছে ১ হাজার ৯২০টি চিংড়ির ঘের।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে চাঁদপাই, চিলা ও মিঠাখালী ইউনিয়নের ঘেরগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

বৃষ্টি-জোয়ারে মোংলায় ডুবলো ১৯২০ চিংড়ির ঘের, কোটি টাকা ক্ষতি

উপজেলার কাইনমারীর অলক ফনীভুষন, কালিকাবাড়ীর অতুন বিশ্বাস, কানাইনগরের অজয় মন্ডল ও চাঁদপাই গ্রামের ঘের মালিক একরাম হোসেন বলেন, ঘেরের বাঁধের ওপর এখনও এক থেকে দেড় হাত পানি রয়েছে। ঘেরের মাছ আটকে রাখার জন্য জাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পানির চাপ ও বাতাসে জাল ছিঁড়ে মাছ বেরিয়ে গেছে।

প্রতি বছরই এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন মোংলার মৎস্য ও ধান চাষিরা। তাই পশুর নদীর পাড়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও উঁচু রাস্তার তৈরির দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃষ্টি-জোয়ারে মোংলায় ডুবলো ১৯২০ চিংড়ির ঘের, কোটি টাকা ক্ষতি

উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম ও চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন জানান, দুটি ইউনিয়ন পশুর নদীর পাড় ঘেঁষা। তাই বৃষ্টি-অস্বাভাবিক জোয়ারে ঘের মালিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন। সুতরাং পশুর নদীর পাড় দিয়ে বেড়িবাঁধ করা গেলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন হাজার হাজার ঘের মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, পশুর নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এরই মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারসহ বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চাঁদপাই ও চিলা ইউনিয়ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে পাউবো ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। বাঁধটি মোংলার পশুর নদীর চাঁদপাই ও চিলা ইউনিয়ন হয়ে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে গিয়ে মিশবে। আশা করছি শিগগির ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ করে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করবে।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।