ভোলার প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স

বেশিরভাগই লাইসেন্স নেই, ভাড়া নেয় ইচ্ছামতো

জুয়েল সাহা বিকাশ
জুয়েল সাহা বিকাশ জুয়েল সাহা বিকাশ , জেলা প্রতিনিধি, ভোলা ভোলা
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২

ভোলায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বেড়েই চলছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এগুলোর বেশিরভাগেরই লাইসেন্স নেই। অনেক অ্যাম্বুলেন্সের চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক। এছাড়া বেপরোয়া গতিতে চালানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ট্রাফিক আইন অমান্য করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে চালকদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাত উপজেলার রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসার জন্য প্রায় শতাধিক প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ভোলা জেলায়। তবে বেশিরভাগ অ্যাম্বুলেন্সের প্রায়োজনীয় কগজপত্র ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। প্রায় ২০ ভাগ চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক।

Bhola-(1)

মো. হোসেন, মো. মঞ্জুর ও মো. রুবেল নামের রোগীর কয়েকজন স্বজন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে এসেছি। এতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছেন তারা। ভাড়া একটু কম দিতে চাইলে রোগী নিতে চান না। বাধ্য হয়ে ভাড়া বেশি দিয়ে রোগী নিয়ে আসতে হয়।’

তারা আরও বলেন, ‘প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বেশিরভাগই বয়স কম। তারা অনেক দ্রুত চালান। এতে আমাদের ভয় লাগে। তাদের একটু ধীরে চালাতে বললে আমাদের ওপর রাগ করে। আমরা বাধ্য হয়ে তাদের সব অন্যায় মেনে নেই।’

Bhola-(1)

এ বিষয়ে ভোলা স্কয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের চালক মো. রুবেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা দূরত্ব হিসেবে ভাড়া নিয়ে থাকি। যদি রোগীর পরিবারের সঙ্গে ভাড়া মেলে (চাহিদামতো ভাড়া দিতে চান) তাহলে আমরা রোগী নেই, অন্যথায় নেই না।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমানের জ্বালানি তেলের দাম বেশি। তাই বাধ্য হয়ে আগের চেয়ে ভাড়া বেশি নিতে হয়।

দুই বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন লাইফ লাইন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের চালক মো. রাশেদ। এক বছর আগে তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন।

Bhola-(1)

রাশেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক চালক রয়েছেন যাদের লাইসেন্স নেই। তবে লাইসেন্সের জন্য তারা কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।’

ট্রাফিক আইন অমান্য করার বিষয়ে নিরাপদ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের চালক মো. রাশেদ মিয়া বলেন, ‘জরুরি রোগী হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। এজন্য অনেক সময় একটু-আধটু ট্রাফিক আইন অমান্য হয়। তবে এটা অনিচ্ছাকৃত।’

এ বিষয়ে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফরহাদ সরদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলোর তদন্ত করছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।