চোখে দেখেন না, নাতিবউয়ের সাহায্যে ভোট দিলেন আয়েশা
আয়েশা বেগম, বয়স প্রায় ৯০ ছুঁই ছুঁই। অনেক আগে থেকেই দুচোখে দেখতে পান না। বয়সের ভারে তেমন হাঁটতেও পরেন না। তাই নাতির ভ্যানে চড়ে কেন্দ্রে আসেন তিনি। আর নাতিবউয়ের হাত ধরে দিলেন ইভিএমে ভোট।
বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আয়েশা। তিনি গঙ্গারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত শেখ মজিবুর রহমানের স্ত্রী।
ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আয়েশা বেগম বলেন, আমার একটা চোখ সম্পূর্ণ অক্ষম। আরেকটি চোখেও এখন দেখি না। নিজে নিজে চলতে পারি না। ভোট দিতে যাওয়ার কথা জানালে আমার নাতি কাউসার তার ভ্যানে কেন্দ্রে আনে। পরে নাতিবউ ভোট কক্ষে ধরে নিয়ে যায়। প্রতীক বা অন্যকিছু না দেখতে পেলেও তার সহযোগিতায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করার পর যে প্রতীক বলেছি, নাতবউ আনোয়ারা খাতুন সেখানে ভোট দিয়েছে। ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে। ভোট দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে মেঝেতে বসে ছিলাম। নাতি বউয়ের ভোট দেওয়ার পর ভ্যানে বাড়ি ফিরে যাবো।

দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম তিন ঘণ্টায় ২৮ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা সরাসরি ভোট দিতে পারছেন।
জেলা নির্বচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যানসহ ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৮০১ জন ও নারী ভোটার ১৯ হাজার ১৮৩ জন। মোট ১৭টি ভোট কেন্দ্রে ১৫০টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ চলছে।
সোহান মাহমুদ/এসজে/জেআইএম