জন্ম থেকেই হার্টে ছিদ্র ইশরাতের, টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ
হার্টে ছিদ্র নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ইশরাত। তাই জন্মের পর থেকেই তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে সহায়সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন তার বাবা ওবায়দুল্লাহ। টাকার অভাবে আটকে আছে মেয়ের চিকিৎসা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাস করেন ওবায়দুল্লাহ। তিন সন্তানের মধ্যে ১২ বছরের ছেলে বাক প্রতিবন্ধী আর ছোট মেয়ে অসুস্থ ইশরাত। দর্জির কাজ করে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। জন্ম থেকে মেয়ের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে এখন তিনি নিঃস্ব প্রায়।
কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘পাঁচজনের সংসারে একা রোজগার করি। তা দিয়ে চলতেই কষ্ট হয়। এরপরও নিজের যতটুকু ছিল সব বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছি। এখন আমার মেয়েটার চিকিৎসা করাতে পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ ঢাকা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি। তিনি বলছেন অতি দ্রুত ওর অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু এ টাকা এখন কই পাবো। আমাকে কেউ সহযোগিতা করলে মেয়েটার চিকিৎসা করাতে পারবো।’
ইমরান নামের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ফুটফুটে শিশুটি সারাক্ষণ যন্ত্রণায় ভোগে। দু-তিন মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে ওর বুক ধড়পড় করে। হাতের নখ, আঙ্গুল দিন দিন বাকা হয়ে যাচ্ছে। তাই ওর চিকিৎসা করাটা এখন অতি জরুরি। কিন্তু তার বাবার টাকা নাই।’
ইশরাতের চাচা মতিন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা স্বজনরা মিলে সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। এখন আরও ৫ লাখ টাকা দরকার। সবাই মিলে যদি সহযোগিতা করতো তাহলে হয়তো ইশরাত সুস্থ হতো।’
পটুয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শিলা রানী দাস জাগো নিউজকে বলেন, এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপজেলা কার্যালয় অথবা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে। তাহলেই আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/জিকেএস