যৌন হয়রানির অভিযোগ
গ্রেফতার সেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ছাত্রীদের যৌন হয়ারানির অভিযোগে গ্রেফতার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে (৪৫) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রানীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষক হাফিজুর গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন। তাই তাকে জেলা শিক্ষা অফিসার সাময়িক বরখাস্ত করেছে। রোববার দুপুরে বরখাস্তের অফিস আদেশের পত্রটি পেয়েছি।
বরখাস্তকৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং মেরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আশেক আলী দেওয়ানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েকবার আলোচনায় বসে ওই শিক্ষককে সর্তক করা হয়। এরইমধ্যে ২০ নভেম্বর ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর যৌন হয়ারানি করেন শিক্ষক হাফিজুর। এরপর ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন ঘটনাটি বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে ঘটনাটি গ্রামের লোকজনদের জানায়। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও কয়েকজন ছাত্রীর যৌন হয়রানির বিষয় উঠে আসে। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে ২৭ নভেম্বর সকালে বিদ্যালয় ঘেরাও করে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে রানীনগর থানা পুলিশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা পর শিক্ষককে শাস্তির আশ্বাস দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই এক ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক হাফিজুরকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ২৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
আব্বাস আলী/এসজে/জিকেএস