করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
চিকিৎসককে স্বজনদের মারধর, প্রতিবাদে কর্মবিরতি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে তারা হাসপাতালের বহির্বিভাগে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. কামরুল ইসলামের ওপর হামলা চালান মারা যাওয়া এক রোগীর স্বজনরা। তারা ওই চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় রিয়াজ ও মামুনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
রিয়াজ (৩০) করিমগঞ্জ উপজেলা সদরের রিকশা স্ট্যান্ড এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। মামুন (৪৫) একই এলাকার মরহুম হাজী আলী আকবরের ছেলে।
আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. কামরুল হাসান ওয়াসিম বলেন, ‘ওইদিন বিকেলে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনের সময় রিয়াজ তার বাড়িতে গিয়ে ফিরোজা বেগম নামের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নূরজাহান খাতুনকে অনুরোধ করেন। নূর জাহান জরুরি বিভাগ রেখে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফিরোজা বেগমকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। আমি তাকে মৃত ঘোষণা করি। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন।’
হাসপাতালের প্রশাসক ডা. রিয়াদ শাহিদ রনি বলেন, এ ঘটনায় ডা. কামরুল হাসান বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ধর্মঘট শুরু করেন চিকিৎসক-কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআর/জিকেএস