রংপুরে স্থিতিশীল সবজি বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুরের বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে সবজি বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দামে তেমন একটা হেরফের নেই। এছাড়া চাল, ডাল, আলু, তেল ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো ১৪০-১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৩০-৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোবারক আলী বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পোলট্রি মুরগির দাম অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে দেশি মুরগির দাম চড়া। আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে।

jagonews24

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯০ টাকা এবং দুই লিটার ৩৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১৫-২০ টাকা, গোল বেগুন ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৮-১০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০-৩৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতার দাম কমে ২০-৩০ টাকা কেজি, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, মুলা আগের মতোই ১০-১৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা এবং ফুলকপি ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের মতোই আদা ১১০-১২০ টাকা ও রসুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।

jagonews24

খুচরা বাজারে পুরাতন কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের দামে ২০-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নুতন কার্ডিনাল আলু ৩৫-৪০ টাকায় মিলছে। তবে দাম কমেছে শিল আলুর। গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মঙ্গলবার এটি ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঝাউ আলু ৫০-৫৫ টাকা এবং নতুন গ্রানুলা (সাদা) আলু ২৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১০-১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৭০ টাকা ও খোলা আটা ৬০ টাকা, ছোলা বুট ৮৫-৯০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

jagonews24

বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ১-২ টাকা বেড়ে ৩৬-৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।