একমাস পর কাঁটাতার থেকে মুক্ত চার পরিবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রায় এক মাস পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাঁটাতারের বেড়া থেকে মুক্তি পেয়েছে ৪টি পরিবার। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) তাদের মুক্ত করা হয়।

মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে মাদারীপুরের কালকিনিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ওই চার পরিবারকে বন্দি করে রেখেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন ওইসব পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় কালকিনি উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

পরে বৃহস্পতিবার সকালে কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কায়েসুর রহমান ও কালকিনি থানার এসআই মো. রাজিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বন্দিদশা থেকে অসহায় চার পরিবারের সদস্যদেরকে মুক্ত করেন।

একমাস পর কাঁটাতার থেকে মুক্ত চার পরিবার

কালকিনি উপজেলা প্রশাসন, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এলাকার উত্তর চর আইরকান্দি গ্রামের সুজন শিকদার বাদী হয়ে প্রায় ১২ বছর আগে একই এলাকার তাইজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদারীপুর আদালতে একটি মারামারির মামলা করেন। ওই মামলায় সুজনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন একই বাড়ির জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার ও শওকত শিকদার।

তারা এই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় আসামি তাইজুল ইসলামের নেতৃত্বে সালমান ও সাকিলসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার, শওকত শিকদার ও নাসির শিকদারের বসতঘরের চারপাশে প্রায় এক মাস আগে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখেন। এতে করে ওই চার পরিবারের ৩৫ জন সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহার কাছে ও কালকিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ৪ পরিবার। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কায়েসুর রহমান, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. হানিফ চোকদার ও কালকিনি থানার এসআই মো. রাজিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বন্দিদশা থেকে পরিবারের সদস্যদের মুক্ত করেন।

একমাস পর কাঁটাতার থেকে মুক্ত চার পরিবার

ভুক্তভোগী শওকত শিকদার ও নাসির শিকদারের পরিবারের সদস্যরা বলেন, সুজনের মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে তাইজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বসতঘরের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন এসে আমাদেরকে বেড়া কেটে মুক্ত করেছেন। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

অভিযুক্ত তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় বেড়া দিয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কায়েসুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বন্দিদশা থেকে অসহায় পরিবারগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ আর কখনো করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।