পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক ৩
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার করতোয়া সেতুর পশ্চিম পাশের মঠ সন্তগৌরীয় এর পুরোহিত মহারাজ যজ্ঞেশ্বর রায়কে (৫০) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- পূর্বের জেএমবি মামলার দুই আসামি খলিলুর রহমান ও বাবুল হোসেন এবং স্থানীয় শিবিরকর্মী জাহাঙ্গীর আলম। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের করতোয়ার পাশে শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার সারা রাত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবিন্দ্র চন্দ্র রায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন। অন্যদিকে বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলাবাসীর ব্যানারে উপজেলা সদরের বিজয় চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভা ও মানবন্ধন কর্মসূচিতে বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন সাধু সন্ন্যাসী, স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুলীগের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ও দেবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসনাৎ জামান চৌধুরী জজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু তোরাব সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা সুবাস চন্দ্র রায় প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা অবিলম্বে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের করতোয়ার পাশে শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করে তিন দুর্বৃত্ত। এ সময় গোপাল চন্দ্র রায় নামে এক পূজারি গুলিবিদ্ধ হয়।
সফিকুল আলম/এসএস/এবিএস