পরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আগের পরীক্ষা শুরু!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৩

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে পরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা শুরুর অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ৩০ মিনিট পর বিষয়টি বুঝতে পেরে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র তুলে নিয়ে পুনরায় সঠিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়। তবে প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের ঘটনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা বিলম্বে শুরু করে অতিরিক্ত সময় দিয়ে শেষ করা হয়। বিকেল ৫টায় তাদের পরীক্ষা শেষ হয়।

মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজকের (৫ জানুয়ারি) ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্রের জায়গায় একই বিষয়ের আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পত্রের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে পাঠানো হয়েছিল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে আবার ট্রেজারি থেকে সঠিক প্রশ্নপত্র নিয়ে এসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’ তবে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই শিক্ষক।

আরেক শিক্ষক বলেন, ‘যে শিক্ষকরা ট্রেজারি থেকে প্রশ্ন নিয়ে এসেছেন তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। বিষয় কোড অনুযায়ী প্রশ্নপত্র এনে অধ্যক্ষের সামনে বিষয় কোড মিলিয়ে প্রশ্নপত্র খোলার নিয়ম। কিন্তু কোড না মিলিয়ে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে তা রুমে রুমে পাঠানো হয়েছিল। পরে আবারও ট্রেজারি থেকে সঠিক প্রশ্নপত্র নিয়ে এসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের প্রথমে প্রশ্নপত্র দিয়ে পরে তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৫-৩০ মিনিট পর আবার তাদের পরীক্ষা শুরু হয়।’

শাহিনুর আলম নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘কক্ষে প্রশ্নপত্র আনার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আমাদের বিষয় কোড জিজ্ঞাসা করেন। কক্ষে আসা প্রশ্নপত্রের বিষয় কোডের সঙ্গে আমাদের আজকের বিষয় কোড না মেলায় ওই শিক্ষক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এর ৩০ মিনিট পরে আমাদের সঠিক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। একবার প্রশ্নপত্রের খাম খুললে তা আর বন্ধ করার উপায় নেই। আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, ওরা ভুল করে নির্ধারিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ৯ তারিখের পরীক্ষা স্থগিত করা হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।