নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ভালো

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ভালো বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নওগাঁর নিয়ামতপুর প্রান্তে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। তিনি সব ধর্মের উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন। সব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তিনি নিবেদিত প্রাণ।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। বাবার দেখানো পথ ধরে তিনি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর সে ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আল মামুন হক, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা বক্তব্য দেন।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ, আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে।

মডেল মসজিদগুলোতে দ্বিনি দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

আব্বাস আলী/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।