ধর্ষণচেষ্টার শাস্তি কান ধরে উঠবস: সেই অভিযুক্ত গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

নোয়াখালীর চাটখিলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সালিশে ১০ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া আসামি মো. সোহেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চাটখিল থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার মো. সোহেল চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম পাটোয়ারীর ছেলে। তার মামা কাজী বেলাল ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি (রোববার) রাত ৯টায় স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় জনতা বাজার থেকে প্রতিবেশী চাচা মো. সোহেলের সঙ্গে বাড়ি পাঠালে তিনি শিশুটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের নেতৃত্বে শিশুটির বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। এতে অভিযুক্ত সোহেল, তার বাবা রুস্তম পাটোয়ারী, মামা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী বেলালসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত সোহেলকে ১০ বার কান ধরে উঠবস করার শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ওই সালিশ মেনে নিতে সাদা স্ট্যাম্পে উভয় পক্ষের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

নির্যাতিতার কৃষক বাবা বলেন, সালিশে আমাদের বাধ্য করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। আমরা অসহায় মানুষ, আইনের সহায়তা নেওয়ার মতো কেউ পাশে ছিল না। গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশের সহযোগিতায় মামলা দায়ের করেছি। আসামির সর্বোচ্চ শান্তি কামনা করছি।

সালিশ বৈঠকের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল সালিশ বৈঠক ও শাস্তি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে মামলার পর তাকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে চাটখিল থানার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু জাফর বলেন, আসামি সোহেলকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকালে তাকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।