আওয়ামী লীগ হলো রেশমি মিঠাই, চাপ দিলে এতটুকু হয়ে যাবে: আলাল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

আওয়ামী লীগকে ‘রেশমি মিঠাই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো জিয়াউর রহমানকে সম্মান করেন না। তার চেলা-চামুণ্ডারাও তাকে অসম্মান করেন। তিনি বলেছেন, এই চারশ টাকার মেজর কিসের মুক্তিযোদ্ধা। এই চারশ টাকার মেজরই আপনাদের রক্ষা করেছিল। আপনার দলে কোনো বীর উত্তম আছে কী না খুঁজে দেখেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা খেলার কথা বলেন। আমরা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি প্লেয়ার পুলিশ-ডিবি। এত খেলা খেলতে চান। এখন আপনারা ছক্কায় পোক্কা হয়ে গেছেন। লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আওয়ামী পুলিশ লীগ, আওয়ামী ডিবি লীগ হবেন না। দেশের পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করুন।’

jagonews24

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে আলাল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে অনেকের নাম শুনছি। সেখানে একটি নাম উল্লেখযোগ্য। বাকশালের পক্ষে যার ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছিলেন সেই বিচারপতি নাকি রাষ্ট্রপতি হবে। আমরা এটা মানবো না। রাষ্ট্র চিরন্তন বস্তু। সেই রাষ্ট্র এবং সরকারকে আজ আপনারা গুলিয়ে ফেলেছেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলে। আরে আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে যান। আপনার আপন ভাই বলেছে, ওবায়দুল কাদেরকে এ মাটিতে পা রাখতে দেব না। আর মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ। আওয়ামী লীগ হলো রেশমি মিঠাই। চাপ দিলে দেখবেন এতটুকু হয়ে যাবে। আজকের এই যে রেমিট্যান্স সেটা আনার ব্যবস্থা করেছিলেন খালেদা জিয়া।’

আলাল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে বিএনপির অবদান নেই। আমাদের সমস্ত নেতাকর্মীরা যখন কারাগারে তখন আপনাদের পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে। এর থেকে আপনারা আর উঠতে পারবেন না। আমরা বলেছিলাম ইভিএম মানি না। আজ তারাও সেটা মানতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০ জন ঋণখেলাপির নাম বলেছেন। খাম্বার কথা বলতো বিএনপিকে, সেই খাম্বার মালিক আজ তাদের দুইবারের এমপি। বেয়াইয়ের সাথে ঝগড়া তাই বেয়াইকে বিদেশে পাঠিয়েছেন।’

এসময় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিনসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।