মায়ের ইচ্ছা পূরণে পালকিতে বিয়ে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩

যশোরে পালকিতে বিয়ে করে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী অনুপ কুমার মণ্ডল। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সাদিপুর গ্রামের গণেশ কুমার মণ্ডলের ছেলে অনুপ কুমার মণ্ডলের সঙ্গে হাজিরবাগ ইউনিয়নের সোনাকুড় গ্রামের হিরেন্দ্রনাথ রায়ের বড় মেয়ে মাধবী লতা রায় মীমের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ে হয়। বাঙালির প্রাচীন সংস্কৃতির পালকিতে বিয়ে করতে গিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন এলাকায়।

পালকিতে বর, হেঁটে বরযাত্রী পটকাবাজি, আতশবাজি ও ব্যান্ডদল নিয়ে বাজনা বাজাতে বাজাতে বিয়ে করতে যান তারা। এসময় গ্রামের শিশু থেকে শুরু সর্বস্তরের নারীপুরুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পালকিতে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করেন। যাওয়ার সময় তারা সাদিপুর থেকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে সোনাকুড় কনের বাড়িতে যান। শনিবার ফেরার সময় সোনাকুড় দক্ষিণ পাড়ার ও হাজিরবাগের মধ্য দিয়ে সাদিপুর ফিরে আসেন। দীর্ঘদিন পরে পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে এলাকার মানুষ খুবই মজা পেয়েছেন। শিশুরা পালকির সঙ্গে অনেক দূর পর্যন্ত আনন্দ করতে গেছে। দুদিন ধরে পালকির বিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘোড়ার পিঠে বর, পালকিতে কনে

নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ফাহিম ও মাহিম নামের দুই শিশু জানায়, আমরা জীবনেও পালকি দেখিনি। পালকিতে বিয়ে করতে যাওয়া দেখে খুব মজা পেয়েছি।

মায়ের ইচ্ছা পূরণে পালকিতে বিয়ে

বরের বাবা গণেশ কুমার মণ্ডল জানান, আমার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়েছিল পালকিতে। তাই আমার মায়ের ইচ্ছা তার যে কোনো ছেলে পালকিতে বিয়ে করতে যাবে। নাতবউ পালকিতে করে আসবে। মায়ের ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমার ছেলের বিয়ের যানবাহন হিসেবে পালকি ব্যবহার করেছি।

বর অনুপ কুমার মণ্ডল জানান, ঠাকুরমার ইচ্ছা পূরণের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়েতে পালকি ব্যবহার করা হয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। ডিজিটাল যুগে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরে আমি এলাকার মানুষকে পালকি দেখাতে পেরেছি।

মিলন রহমান/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।