আশুলিয়ায় আরিফ হত্যাকাণ্ড, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৪

ঢাকার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খাঁন।
র্যাব জানায়, নিহত আরিফ হোসেন (১৯) সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার বাজরা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তিনি কালিয়াকৈরের বিশ্বাসপাড়া এলাকায় একটি রঙের কারখানায় চাকরি করতেন।
গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্বাসপাড়া এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি তিনি। পরে ২৪ জানুয়ারি সকালে আশুলিয়ার কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের ভেতর বিবস্ত্র অবস্থায় আরিফের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে র্যাব। পরে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূলহোতা সেন্টু সরদার (৩৫), মো. জমির উদ্দিন (৩৩), রাব্বি আহম্মেদ (২৪), ও মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতাররা র্যাবকে জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা আরিফকে আশুলিয়া কলতাসুতি গ্রামের কেন্দ্রীয় গণকবরের নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। এসময় আরিফের মুখ চেপে ধরে পরিহিত প্যান্ট খুলে হাত-পা বেঁধে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। আরিফ টাকা দিতে অস্বীকৃত জানিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে আসামিরা আরিফের গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মৃত নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ কবরস্থানের নির্জন এলাকায় ফেলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘ চার বছর ধরে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে সুকৌশলে নির্জন স্থানে আটকে রেখে ভুক্তভোগীদের স্বজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করতো। সেইসঙ্গে তারা অপহরণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতাররা গত তিন-চার বছরে ৬০টির বেশি চাঁদাবাজি করে আনুমানিক ২৫-৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। র্যা
মাহফুজুর রহমান নিপু/এমআরআর/জিকেএস