যমজ শিশু রেখে উধাও বাবা-মা, ইউএনওর দায়িত্বে দাদির কোলে ঠিকানা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৫২ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৯ মাস আগে জন্ম হয় যমজ শিশু আরিশা ও আনিশার। তবে কপালে জোটেনি বাবা-মায়ের আদর-স্নেহ। চারমাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে দুই শিশুকে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান মা তাজরিন বেগম। মায়ের মমতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছিল তারা।

সম্প্রতি ১০৯৮ (শিশুদের সহায়তায় চাইল্ড হেল্পলাইন) নম্বরে ফোন দিয়ে আরিশা ও আনিশার জন্য সহায়তা চান স্থানীয়রা। পরে উপজেলা সমাজকর্মী সেনাউল ইসলাম তাদের বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ে ডাকা হয় তাদের।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে আরিশা ও আনিশার সব দায়িত্ব নিয়ে তাদের দাদি রুমেলী বেগমের কাছে হস্তান্তর করে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত। ওই দুই শিশুর সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত সিএসপিবি প্রকল্পের কেস ম্যানেজমেন্টের আওতায় নিয়ে আসা হয়।

jagonews24

এতে ৯ মাসের যমজ শিশু ফিরে পেয়েছে নতুন ঠিকানা। এ সময় বিভিন্ন উপহার সামগ্রীসহ দেওয়া হয় নগদ আর্থিক সহায়তা। সব সময় পাশে থাকারও আশ্বাস দেন ইউএনও আবুল হায়াত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াত বলেন, গত ৩ বছর আগে উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের চক নাধড়া গ্রামের তাজরিনের সঙ্গে কানসাট বালুচর গ্রামের আবদুল আওয়ালের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

‘তাজরিনের স্বামীও গেছেন আত্মাগোপনে। পরে যমজ শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েন দাদি রুমালী বেগম। তাই তারা যত্ন থেকে বঞ্চিত ছিল। আমি একই সঙ্গে আরিশা ও আনিশার দেখভালের জন্য প্রতি মাসে নগদ আর্থিক সহায়তা দেব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামসহ অন্যরা।

সোহান মাহমুদ/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।