ফেব্রুয়ারির শুরুতেই পর্যটকে টইটুম্বুর কুয়াকাটা
সাপ্তাহিক ছুটি ও মাঘী পূর্ণিমার বন্ধে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকে টইটুম্বুর। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পর্যটক মৌসুম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ মাস ফেব্রুয়ারির শুরুতেই পর্যটকদের আগমন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সৈকতে ঘুরে দেখা যায়, লেম্বুরবন বন থেকে ঝাউবন পয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সৈকত কাণায় কাণায় পূর্ণ। ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেটসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী।
আবাসিক হোটেলগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। অনেক পর্যটক আগে বুকিং না দিয়ে আসায় তাদের রুম পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। বছরের অন্যান্য দিনে এসে যত সহজে হোটেল পেয়ে থাকেন আজ তেমনটা হয়নি। উপায় না পেয়ে তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে জায়গা করে নেন অনেক পর্যটক। আবার অনেক পর্যটক সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রাতেই ফিরছেন গন্তব্যে।
খুলনা থেকে আসা লামিয়া আলমাস নামের এক পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, তিনদিনের বন্ধকে কাজে লাগাতেই কুয়াকাটায় পরিবার নিয়ে আসছি। বছরে এক দু’বার ভ্রমণে বের হই। তবে কুয়াকাটায় আমরা বার বার আসি। এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা।
গ্রিন ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন রাজু জানান, পরশুদিন রোববার মাঘী পূর্ণিমার কারণে টানা তিনদিনের বন্ধ উপলক্ষে আজ হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটায়। আশা করছি পুরো ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা বছরের সর্বোচ্চ পর্যটক পাবো।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে জানান, পদ্মা সেতু বা সারাদেশের পছন্দের জায়গা কুয়াকাটা যেদিক দিয়েই আমরা বলি না কেন কুয়াকাটায় এখন ভরা মৌসুম। বছরে সবচেয়ে বেশি পর্যটক পেয়ে থাকি এই ফেব্রুয়ারি মাসে। বর্তমানে তিনদিনের বন্ধে শতভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে। তাই কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য পরামর্শ থাকবে অগ্রীম বুকিং দিয়ে আসার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে জানান, টানা তিনদিন বন্ধের কারণে কুয়াকাটায় হাজার হাজার পর্যটক। তাই আমাদের বিভিন্ন টিম বিভক্ত হয়ে পুরো সৈকতে টহল দিচ্ছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এএসএম