‘আলিফকে দেখে রেখো’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রেললাইনে দাঁড়িয়ে সুমাইয়া খাতুন ওরফে সাথী মোবাইলফোনে তার বাবাকে বলেছিলেন, ‘আলিফকে দেখে রেখো’। আলিফ সাথীর দুই বছর বয়সী ছেলে।

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সাথী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন তার বাবা মহিরুল ইসলাম। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা রেল কলোনির বাসিন্দা।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোরের অভয়নগরে রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেললাইনে সাথীর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ পড়ে ছিল।

নিহত সাথী যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের রকি শেখের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে বোরকা পরা এক নারী রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। এসময় খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দেহ থেকে তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নিহতের বাবা মহিরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে সাথী ও নাতি আলিফ সকালে তাদের বাড়িতে আসে। অভয়নগরের রাজঘাট বাজারে যাওয়ার কথা বলে আলিফকে রেখে তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে সে ফোন করে ছেলে আলিফকে দেখে রাখার কথা বলে বাবাকে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানতে পারেন, তার মেয়ের মরদেহ রাজঘাট এলাকায় রেললাইনে পড়ে আছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাথীর সঙ্গে জামাই রকি প্রায়ই খারাপ আচরণ ও মারধর করতো। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মাসুদ রানা বলেন, রাজঘাট এলাকায় রেললাইন থেকে বেতনা এক্সপ্রেস টেনে কাটা এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীকালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিলন রহমান/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।