ফুলকপি-বাঁধাকপির কেজি ৫ টাকা, তবুও নেই ক্রেতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

লালমনিরহাটে দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের একেকটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি মাত্র ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে কেজি পড়ছে পাঁচ টাকা। তবুও মিলছে না ক্রেতা। সস্তায় পেয়ে কেউ কেউ গবাদিপশুর খাদ্যের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব সবজি।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এ চিত্র দেখা গেছে।

jagonews24

সরেজমিন দেখা গেছে, হাটে প্রচুর পরিমাণে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। তবে ক্রেতা না পেয়ে মাত্র পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে আবার ফুলকপি ও বাঁধাকপি কিনছেন গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ দিন আগেও এসব ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে দাম কমে পাঁচ টাকায় নেমেছে। বাজারে অন্যান্য সবজির দাম বাড়লেও সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ। এবার প্রায় ১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছেন। চার বিঘা জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপির পাইকার না পেয়ে আজ বড়খাতা হাটে নিজেই এসেছেন বিক্রি করতে। প্রতিকেজি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে।

ফুলকপি বিক্রেতা আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করছি তবুও ক্রেতা নেই। এতে চাষাবাদ করতে যে খরচ হয়েছে সে টাকাও উঠবে না।’

হামিদুর রহমান নামের আরেক বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি করছি মাত্র ১০ টাকায়। এতে সীমিত লাভ হচ্ছে আমাদের।

jagonews24

বাঁধাকপি কিনতে আসা শাফিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি হাটে গরু ও ছাগলের জন্য প্রায় এক মণ করে বাঁধাকপি কিনি। আজ হাটে প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি ও ফুলকপি উঠেছে। তাই দাম অনেক কম। এজন্য বেশি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

হাতীবান্ধা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার লতিফুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়। তাই বাজারগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে সবজি দুটি উঠেছে। তবে বর্তমানে চাহিদা কম থাকায় দাম কম পাচ্ছেন ক্রেতারা।

 

রবিউল হাসান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।