অচল লাইনেই প্রতিমাসে যাচ্ছে টেলিফোন বিল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নীলফামারীর বাসা-বাড়ি ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ টেলিফোন লাইন দীর্ঘদীন ধরে অচল ও সংযোগবিহীন। কিন্তু প্রতিমাসে বিল পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এক সময়ের জনপ্রিয় এই যোগাযোগ মাধ্যমটির সেবার মান খারাপের অভিযোগ বহু পুরোনো। এর ওপর যোগ হয়েছে এই বিলের বোঝা।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাহকদের লাইন অচল থাকার বিষয়ে অবগত না করার ফলে প্রতিমাসে ন্যূনতম বিল যাচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- রানি এলিজাবেথের ভ্রমণ করা বিলাসবহুল রেলকোচ এখন ‘জাদুঘর’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলা ও উত্তরা ইপিজেড মিলে বিটিসিলের টেলিফোন সংযোগ রয়েছে প্রায় ১৯৭৬টি। এর মধ্যে প্রায় ৩শ’র অধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও বেশিরভাগ গ্রাহক বিল পাচ্ছেন। কিন্তু লাইন সংযোগ না থাকায় বিল প্রদান করছেন না গ্রাহকরা। এছাড়াও মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়ায় টেলিফোনের প্রতি তেমন আগ্রহও নেই গ্রাহকদের।

এদিকে সৈয়দপুর বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোনের সংযোগ রয়েছে ৯৬৫টি। এর মধ্যে বেশিরভাগ সংযোগ অচল, কিছু সংযোগ চালু থাকলেও নেই ব্যবহার। কিন্তু অচল সংযোগগুলোতে নিয়মিত যাচ্ছে মাসিক বিল। এমনটাই অভিযোগ গ্রাহকদের।

সৈয়দপুর আনসার ও ভিডিপি অফিসার নূরবানু আক্তার বলেন, আমাদের এখানে একটি সংযোগ আছে। নম্বরটিও মনে নেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এটি। কিন্তু প্রতিমাসে বিল দিচ্ছি।

জলঢাকা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পূরবী রানী বলেন, আমি জলঢাকায় যোগদানের প্রায় ৩ বছরে কখনো টেলিফোন বাজতে শুনিনি। ৩ বছর ধরে সচল নেই লাইনটি। কিন্তু বিল পাই।

নীলফামারী জেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি আশরাফী বলেন, আমাদের এখানকার লাইনটির হয়ত দীর্ঘদিন সংযোগ নেই। তারটিও ছেড়া। আসার পর এ বিষয়ে কথা বলেছি কিন্তু সংযোগ ঠিক হয়নি।

আরও পড়ুন- কৃষিতে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, মিলছে না ন্যায্যমূল্য

উকিলের মোড় এলাকার দুলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের বাসায় একটি সংযোগ ছিল। তবে লাইন ক্লিয়ার না থাকা আর ব্যবহার না করায় টেলিফোনটি নষ্ট হয়ে গেছে। এরপরও মাঝে মাঝে বিল আসে। তবে এখন ওটার কোনো খোঁজই নেই। বিলের বিষয়েও মাথা ঘামাই না।

নীলফামারী বিটিসিএলের সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সংযোগ নষ্ট হওয়ার বিষয়ে গ্রাহকরা না জানানোয় প্রতিমাসে একটি ন্যূনতম বিল প্রদান করা হয়। তবে আমাদের জানালে যদি গ্রাহক চায় আমরা লাইন বন্ধ করে দেবো।

এ বিষয়ে নীলফামারী বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, লাইনগুলো খারাপ থাকলেতো আমরা বুঝতে পারি না। এজন্য আসলে সমস্যাটা হয়। মাসিক ভ্যাট, ট্যাক্স মিলে ন্যূনতম একটি বিল যায়। তবে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হলে আসা করি এই সমস্যাগুলো কমে আসবে।

রাজু আহম্মেদ/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।