অতিরিক্ত বোঝাই নিয়ে ফেরিতে, পন্টুন দেবে ৩ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৯:২১ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৩

বরগুনায় অতিরিক্ত লোডের ট্রাক ফেরিতে তোলার পর অন্য পাড়ে নিয়ে নামাতে গিয়ে পন্টুন দেবে তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে নদীয় দুই পাড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। শনিবার (৪ মার্চ) পায়রা নদীর আমতলী পন্টুনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শাহাদত হোসেনের একটি ট্রাক ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পাথর নিয়ে পুরাকাটা পন্টুন থেকে ফেরিতে ওঠে। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে পুরাকাটা পন্টুন থেকে ফেরি ছেড়ে আসে। পায়রা নদী পাড়ি দিয়ে আধা ঘণ্টা পরে ফেরি আমতলী পল্টুনে নোঙর করে। ওই সময় ফেরি থেকে পল্টুনে ওঠামাত্রই ট্রাক দেবে যায় এবং পল্টুনে পানি উঠতে শুরু করে। খবর পেয়ে আমতলী দমকল বাহিনী, পুলিশ ও সড়ক-জনপথের রেকার প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পাথর নামিয়ে ট্রাক উদ্ধার করে।

ততক্ষণে ফেরির দুই পাড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যান আটকা পড়ে। বিকেল ৫টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে আমতলী থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পণ্য বোঝাইয়ের অপরাধে ট্রাফিক আইনে মামলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম বলেন, পন্টুনে পাথর বোঝাই ট্রাক ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেবে তলিয়ে যেতে শুরু করে। পরে ট্রাক থেকে পাথর নামিয়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

Bargu-2.jpg

আমতলীর পায়রা ফেরি পরিচালক মো. হাসান বলেন, বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শাহদাত হোসেনের একটি ট্রাক ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পাথর বোঝাই করে ফেরিতে ওঠে। আমতলী পন্টুন থেকে ট্রাকটি ওপরে উঠতে শুরু করলে দেবে গিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সড়ক ও জনপথের রেকার এসে ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলা হয়েছে। ট্রাকটি থানায় জব্দ করা হয়।

বরগুনা পুলিশ সুপার মো. আবদুল ছালাম জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনায় হাইওয়ে পুলিশের কোনো ইউনিট না থাকায় ওভারলোড গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।

এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।