গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

বন্ধুর দোকানে যাওয়াই কাল হলো বাবুলের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের একজন মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল ওরফে বাবুল মোল্লা (৫৫)। তিনি পৌর এলাকার চর বেউথা গ্রামের মৃত শেখ মো. সাহেব আলীর ছেলে।
বাবুল ঢাকায় প্রেস প্রিন্টিং সাপ্লায়ার হিসেবে কাজ করতেন।

বুধবার (৮ মার্চ) সকালে জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাবুলের বাড়িতে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ভিড়। বাড়ির আঙিনায় খাটিয়ায় মরদেহ রাখা হয়েছে। স্ত্রী, সন্তান আর স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে সেখানে। আকম্মিক এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, বাবুলের ১ ছেলে ও ২ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। ছেলে মাদরাসায় লেখাপড়া করে। খুবই ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন তিনি।

দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহত বাবুলের বন্ধু আবুল বাশার জানান, গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ওই ভবনের নিচতলায় তার ‘বিসমিল্লাহ স্যানেটারি’ নামে একটি দেকান আছে। শবে বরাত উপলক্ষে তাদের ১০ বন্ধুর টাঙ্গাইলে একটি ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ট্রেনের টিকিট ছিল নিহত বাবুলের কাছে। বিকেলে বাবুল তার দোকানে এলে যাওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল।

‘বাবুলকে দোকানে বসিয়ে রেখে ওয়াশরুমে যান তিনি। এ সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিচতলা ধসে পড়ে। চারদিক লন্ডভন্ড। তিনি ফিরে এসে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বন্ধুকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ছুটে আসেন স্বজনরাও। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে বাবুলের মরদেহ বিকৃত হয়ে যায়। তার পরণের জুব্বা ও তসবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করা হয়।’

নিহত বাবুলের ভাস্তিজামাই আব্দুর রশিদ জানান, বাবুলের শরীর থেকে একটি হাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হয়তো হাতটি দুর্ঘটনাস্থলেই থেকে গেছে।

হাসপাতাল থেকে বুধবার ভোর ৪টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। বাড়ি আনার পথে পীরের দরবার শরীফ সিদ্দিক নগরে জানাজা পড়া হয়। এরপর সকাল ৯টায় বাড়ির পাশে চর বেউথা বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।