বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি


প্রকাশিত: ০৭:৫৯ এএম, ০২ মার্চ ২০১৬

বাগেরহাটের রামপালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দয়রা জজ আদালত। বুধবার দুপুরে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি শহিদুল ইসলাম শহিদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এই রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম রামপাল উপজেলার বড় নবাবপুর গ্রামের মৃত শাহবুদ্দিন সেখের ছেলে।

মামলার বাদি নিহতের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুনের দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, রামপালের বড় নবাবপুর গ্রামের নাজমা বেগমের (৪২) প্রথম স্বামী জাহিদুল ইসলাম মারা যাবার পর তার ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলামের সাথে নামজা বেগমের বিয়ে হয়। নাজমার সাথে বিয়ের পর থেকে শাহিদুল ইসলাম তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না। নাজমাই অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন।

২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে নাজমা বেগমের প্রতিবেশি আছিয়া বেগমের বাড়িতে কাজের জন্য যাবার কথা ছিল। এ নিয়ে স্বামীর সাথে কলহের এক পর্যায়ে ঘরে থাকা দা দিয়ে এলো পাথাড়ি কুপিয়ে নাজমা বেগমকে ফেলে রেখে যায় শহিদুল ইসলাম। এঘটনার পর পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে নাজমা বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেবার পথে তার মৃত্যু হয়।

২০১২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মাকে হত্যা করার অভিযোগে নিহতের বড় ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে চাচা শহিদুল ইসলামকে আসামি করে রামপাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় ওই বছরের ২৩ মার্চ রামপাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ খান আসামি শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।

পরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন এ হত্যা মামলায় ১০  জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে বিচারক একমাত্র আসামি শহিদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

শওকত আলী বাবু/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।