ক্রেতাদের নাগালের বাইরে তরমুজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুরের আড়ত ও খুচরা বাজারে তরমুজসহ সব ধরনের মৌসুমি ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে ফল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে এমনটাই অভিযোগ তাদের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুরের পাঁচ উপজেলার বাজারের একই চিত্র। তরমুজ, আনারসসহ সব ধরনের ফলের দাম দ্বিগুণ। এমনকি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে অর্ধশত বছর ধরে গড়ে ওঠা ফলের আড়তেও একই চিত্র। আড়তেও ফলের দাম বেশি। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে ফল কিনে বেশি দামেই বিক্রি করছেন।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ফলন কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়া ফলের দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে একটি তরমুজের দাম দুইশ থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। তবে মোটামুটি মানের একটি তরমুজ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো।

শহরের ইটেরপুর বাজারে ফল কিনতে আসা চাকরিজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্যরা ক’দিন হলো তরমুজ খেতে চেয়েছে। তাই আজ তরমুজ কিনতে এসেছি। মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ কিনলাম সাড়ে ৪০০ টাকায়। গতবারের চেয়ে এবার তরমুজের দাম বেশি। সন্তানরা খেতে চেয়েছে, তাই ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও দাম বেশি দিয়ে কিনতে হলো।

আরেক ক্রেতা রিকশাচালক মফিজ সরদার বলেন, ‘বাড়ির উনি (স্ত্রী) কয়দিন ধইর্যা একখান তরমুজ কিনতে কইছে। বাজারে আসি দেখি দাম ম্যালা (বেশি)। দাম একটু কমলে তহন কিনমু।’

মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, এ বছর ফলের দাম বেশি। গত বছর একশো তরমুজ সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনেছি। এ বছর একই ফলের দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তাই আমাদের বেশি দামে কিনে আবার বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মায়ের দোয়া ফল ভান্ডারের আড়তদার মোস্তফা দর্জি বলেন, এবার ফল উৎপাদন কম হয়েছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই ফলের দাম একটু বেশি।

মাদারীপুর জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমরা জেলায় প্রতিদিনই বাজার মনিটরিং করছি। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করছেন। যারা দাম বেশি নিচ্ছেন তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।