সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে চোরাই গরু!

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চোরাই গাভি কিনে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন দাদপুর ইউনিয়নের একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। রাতের আঁধারে চুরি করে আনা ওই গরুটি এক কসাই তার কাছে বিক্রি করেছেন বলে দাবি চেয়ারম্যানের। তবে পুলিশের জেরার মুখে গরুর সেই বিক্রেতাকে হাজির করতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারীর দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে আলমগীর নামের এক কসাইয়ের কাছ থেকে গরুটি কিনে তার বাড়িতে নিয়ে যান। শামীম মোল্যার দাবি, গাভিন গরুটি তিনি এক লাখ ৯০ হাজার টাকায় কিনেছেন। তবে পুরো টাকা শোধ করেননি। আপাতত ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি নিয়ে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দাদপুর ইউনিয়নের মোবারকদিয়া গ্রামের পাঁচু শেখের ছেলে আলমগীর শেখ ২১ মার্চ রাতে একটি বিদেশি জাতের গাভিন গরু তার বাড়িতে নিয়ে যান। তবে গভীর রাতে তাকে গরুসহ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা গরুটি কোথা থেকে কার কাছে কিনেছেন জানতে চাইলেও আলমগীর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তারা গরু কেনার রসিদ দেখতে চাইলেও দেখাতে পারেননি ওই কসাই। এসময় গরুটি কারও কাছে বিক্রি অথবা হস্তান্তর করতেও নিষেধ করেন তারা।
এ বিষয়ে কসাই আলমগীর শেখের বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, গরুটি শামীম মোল্যার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আলমগীর আত্মগোপনে রয়েছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামীম মোল্যার দাবি, গরুটি চোরাই কি না তা তিনি জানেন না।
চোরাই গরু বিক্রির খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক(এএসআই) সুব্রত কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, শামীম মোল্যা যার কাছ থেকে গরুটি কিনেছেন তাকে হাজির করতে বলা হয়েছে। ওই গরুর কোনো দাবিদারও পাওয়া যায়নি। যতদিন গরুর মালিককে পাওয়া না যায়, ততদিন গরুটি শামীম মোল্যার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস