গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমি থেকে গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় মামুন মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় মামুনের ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে রাছেল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সুমন হোসেন ও রাজন হোসেন নামে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা নেওয়ার জন্য রায়পুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত নির্দেশনার কপি থানায় পাঠানো হবে।
অভিযুক্ত রাসেল ও আনোয়ার উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের চর পাঙ্গাসিয়া গ্রামের তছলিম মিয়ার ছেলে এবং সুমন ও রাজন একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।
বাদী মামুন চর পাঙ্গাসিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। আহত মামুন উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় প্রাইভেটকারচালক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুমনদের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্তরা বিরোধপূর্ণ জমি থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি কড়ই গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে বাধা দেওয়ায় তারা সুমন ও মামুনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে ধারালো কুড়াল দিয়ে মামুনের নাকে কোপ দেন। এছাড়া সুমনকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা করা হয়। টের পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাদের রক্ষা করেন।
পরে সুমন ও মামুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার সময় সুমনের পকেটে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইলফোন অভিযুক্তরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীদের হত্যাসহ মরদেহ গুম করার হুমকি দিয়েছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আনোয়ারসহ অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তার আত্মগোপনে আছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশের কপি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজল কায়েস/এসজে/এমআরআর/এএসএম