পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় রৌশন আক্তার লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী ইসমাইল হোসেন সুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সুজনের পরকীয়া প্রেমিকা সুরমা আক্তার সুমিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সুজনের পরকীয়া প্রেমিকা সুমির বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এতে আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সুজন জামিনে বেরিয়ে পলাতক আছেন।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সুজনের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ধীতপুর গ্রামের লিপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর লিপি জানতে পারেন, স্বামী সুমি নামের নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করছে। লিপি বিষয়টি তার মাকে জানান। এতে তার মা স্থানীয়দের বিষয়টি জানান এবং সুজনকে সংশোধনের পরামর্শ দেন। এসব নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগতো।

২০২০ সালের ২ মে সকালে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে শান্ত করে চলে যায়। দুপুরে লিপিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সুজন গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে লিপি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। একইদিন লিপির মা আলেয়া বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় সুজন ও পরকীয়া প্রেমিকা সুমির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম সুজন এবং সুমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

কাজল কায়েস/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।