ড্রেনে কাঁদছিল ফুটফুটে নবজাতক
নোয়াখালী সদরে ড্রেনে কাঁদছিল ফুটফুটে এক ছেলে নবজাতক। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটির মা তাকে ড্রেনে ফেলে গেছেন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী মো. সবুজ ড্রেনে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মো. সবুজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোরবেলা হাঁটতে বের হলে জেনারেল হাসপাতালের পেছনের ড্রেন থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি ফুটফুটে এক নবজাতককে কে বা কারা ফেলে গেছেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে নিয়ে যাই। পরে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’
সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসক, নার্সরা শিশুটিকে সেবা দিচ্ছেন। তার কপালে একটি কাটা দাগ রয়েছে। আশপাশের লোকজনের ধারণা, কোনো নারী হাসপাতালে অবৈধ প্রসবের পর লোকলজ্জার ভয়ে নবজাতকটিকে ড্রেনে ফেলে গেছেন।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ মাহমুদা চাঁদ সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়ায় দুপুর নাগাদ তার অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, নবজাতকের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তার চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে সব কিছুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে নবজাতক উদ্ধারের খবরে হাসপাতালে ছুটে গেছেন সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মুক্তা। তাদের কোনো সন্তান নেই।
এসআই শরীফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা ১১ বছরের বিবাহিত জীবনে নিঃসন্তান। নবজাতক ছেলেটিকে আমাদের দেওয়া হলে আমরা নিজের সন্তান হিসেবে লালন-পালন করবো।’
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস