যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
ঝালকাঠির নলছিটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তরিকুল ইসলাম সুমন (৪০) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
বুধবার (৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শহরের হাইস্কুল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষ মুন্না বাহিনী প্রকাশ্যে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় নিহত যুবলীগ কর্মী সুমনের বোন শিউলী পারভীন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলা যুবলীগের সদস্য তরিকুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগ কর্মী দিদারুল আলম মুন্নার বিরোধ চলছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যুবলীগ কর্মী সুমন, জাফর ও মিলটন একটি মোটরসাইকেলে শহরের হাইস্কুল সড়কে এলে মুন্নার নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুমনকে আহত করেন।
প্রাণ বাঁচাতে সুমন দৌড়ে একটি তেলের দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমন পৌরসভার শীতলপাড়া এলাকার মৃত আমজেদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে। যুবলীগ কর্মী তরিকুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধেও একাধিক যুবককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল যুবক যুবলীগ কর্মী সুমনের মোটরসাইকেল থামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এসময় সুমনের সঙ্গে থাকা জাফর ও মিলটন নামের দুই যুবক পালিয়ে যার।
নিহতের বোন সাবেক পৌর কাউন্সিলর শিউলী পারভীন বলেন, আমার একমাত্র ভাইকে পরিকল্পিতভবে হত্যা করা হয়েছে। মুন্না বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
অভিযুক্ত মুন্নার বক্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে তার নিকটাত্মীয় নলছিটি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারমান দুলাল শরীফ বলেন, মুন্নার সঙ্গে সুমনের দ্বন্দ্ব তেমন ছিল না। মুন্নাকে ফাঁসাতে তৃতীয় পক্ষের কেউ হয়তো এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস