রাতে হাসপাতালে নিলেন স্ত্রী, সকালে সড়কের পাশে মিললো মরদেহ
রাতে অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান স্ত্রী। পরদিন সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে পাওয়া গেলো স্বামীর মরদেহ। ঘটনার পর থেকে নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের কোনো সন্ধান নেই।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুলজান চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকা থেকে রিকশাচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরার বরইখালী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে রিকশাচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন মানিকগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নারাঙ্গাই এলাকার কাজু মিয়ার বাড়িতে তিনদিন আগে স্ত্রী ফিরোজাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে একজনের মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। বাড়ির মালিক কাজু মিয়া সেখানে গিয়ে নিশ্চিত করেন মরদেহটি তার ভাড়াটিয়া রিকশাচালক মামুনের। রাতের পর থেকে মামুনের স্ত্রী ফিরোজা বেগমেও নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকার জেরে রিকশাচালককে শিকল বেঁধে নির্যাতন
বাড়ির মালিক কাজু মিয়া জানান, তিনদিন আগে মামুন তার বাসা ভাড়া নেয়। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে মামুনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম তাকে এসে বলেন মামুন খুবই অসুস্থ। এরপর নিজের রিকশা নিয়ে কাজু মিয়া অসুস্থ মামুন ও ফিরোজাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালের ভেতরে গেলে রিকশা নিয়ে কাজু মিয়া বাড়িতে ফিরে আসেন। সকালে হাসপাতালে গিয়ে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভর্তি রেজিস্টার্ড খাতাও আল মামুনের নাম নেই। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলামকে অবগত করেন কাজু। এরপর জানতে পারেন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে মরদেহটি মামুনের বলে শনাক্ত করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
বি.এম খোরশেদ/আরএইচ/জিকেএস
