মেহেরপুরের বাজার থেকে মধুমতি লবণ প্রত্যাহারের নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে মেহেরপুরের বাজার থেকে মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন।

আয়োডিনযুক্ত এ লবণের নমুনা প্রথমে ঢাকার মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও পরে বিএসটিআইয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় এ লবণের মান নিম্ন বলে ফলাফল পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেরপুরের নিরাপদ খাদ্য আদালতে মামলা করেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম। মামলা নম্বর ২/২৩২। ওই মামলায় এ আদেশ দেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আয়োডিনযুক্ত মধুমতি লবণ নিম্নমানের—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার থেকে এ লবণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি লবণের নমুনা পাঠানো হয় ঢাকার মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এ লবণ অত্যন্ত নিম্নমানের। পরে গত ২৩ মার্চ স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুমতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ খুলনা ফুলতলার ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন ও মেহেরপুরের ডিলার আকবর আলীর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিচারের সম্মুখীন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন আদালত।

মামলার নথিতে বলা হয়, মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ মানসম্মত না হওয়ায় ১০ মার্চের মধ্যে বাজার থেকে সরবরাহ করা লবণ প্রত্যাহারের করতে হবে। কিন্তু আসামিরা আজ পর্যন্ত প্রত্যাহার করেননি।

সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে বাজার থেকে মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ থেকে প্রত্যাহার করে তার রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম বলেন, আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। কোনোভাবেই বাজারে কোনো মানহীন পণ্য সরবরাহ করা যাবে না।

এর আগেও ২০১৯ সালের ১৪ মে মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে তা নিম্নমানের বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

আসিফ ইকবাল/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।