‘এভাবে দাম বাড়লে আর মাংস খাওয়া হবে না’
লালমনিরহাট জেলা শহরের বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে কেজিতে ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ব্রয়লারের বাচ্চা উৎপাদনের জন্য পরিচিত প্যারেল মুরগির দাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার হাতীবান্ধা, বড়খাতা, পাটগ্রাম, বাউরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমেছে। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। লেয়ার মুরগি পাইকারি ২৯০ টাকা, খুচরা ২২০-২৫৯ টাকা এবং প্যারেল মুরগি পাইকারি ২৮০ টাকা, খুচরা ৩২০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা বাজারের ক্রেতা আতিক বলেন, রমজানের শুরু থেকে প্যারেল মুরগির দাম কম ছিল। হঠাৎ তা কেজিতে ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগিও এখন কিনে খাওয়ার উপায় নেই।

হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারের কাচুয়া শেখ বলেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের দামে আমাদের মতো গরিবের অবস্থা খারাপ। বাড়িতে মেয়েজামাই এসেছে। গরুর মাংস কেনার সাধ্য নেই। তাই ব্রয়লার মুরগি এক কেজি কিনলাম।’
একই উপজেলার ফকিরপাড়ার আশরাফুল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাংসের মধ্যে গরিবের একমাত্র ভরসা ব্রয়লার মুরগি। মুরগির দাম বাড়লে আমরা কোথায় যাবো? এভাবে দাম বাড়লে আর মাংস খাওয়া হবে না।’
বড়খাতার রেলস্টেশন এলাকার কাটা মাংস বিক্রেতা কাজল মিয়া জানান, ব্রয়লার মুরগির কাটা মাংস ৩০০ টাকা, লেয়ার ৪০০ টাকা এবং প্যারেল মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বড়খাতা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, বর্তমানে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম কমলেও প্যারেল মুরগির দাম বেড়েছে। আশা করছি সামনে ঈদে মুরগির দাম পাবো।
লালমনিরহাট জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, গ্র্যান্ড প্যারেল মুরগির ডিম পাড়া শেষ হলে বাজারে মাংসের জন্য বিক্রি করা হয়। এ মুরগির ডিম থেকে ব্রয়লারের বাচ্চা উৎপাদন হয়।
রবিউল হাসান/এসআর/জিকেএস