সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রগুলো। এরই মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, আকাশনীলা, বরসা রিসোর্ট ও টাইগার পয়েন্ট রিসোর্টের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনে তিনদিনের পাস বন্ধ থাকায় আগত পর্যটকরা আকাশনীলা ইকোট্যুরিজম সেন্টার ও ট্রলারে করে কলাগাছি ইকোট্যুরিজম সেন্টারে ভ্রমণ করছেন।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে সুন্দরবন বেড়াতে আসা জুয়েল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে এবার সুন্দরবনে এলাম। আজ বরসা রিসোর্টে রাত্রিযাপন করবো।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আমরা অল্প সময়ের মধ্যে আসতে পেরেছি। সেতুর কারণে এখন মাত্র ৬-৭ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা আসা যায়। আমার পরিবারের সদস্যরা নৌপথে চলাচলে কিছুটা ভয় পায়। এজন্য এদিক দিয়ে সুন্দরবন দেখতে আসা।’
খুলনা থেকে বেড়াতে আসা হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা হয়ে সড়কপথে সুন্দরবন দেখার সুযোগ থাকায় পরিবার নিয়ে এসেছি।সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কলাগাছিয়ায় গিয়ে নিজ হাতে হরিণকে খাবার খাওয়াতে পারাটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।’

বরসা রিসোর্টের ম্যানেজার রাজু আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, তাদের রিসোর্টের সবগুলো রুম আগামী তিনদিনের জন্য বুকিং হয়ে গেছে। বাকি রিসোর্টগুলোতেও একই অবস্থা। অনেকে এখানে এসে রুম না পেয়ে শ্যামনগরের বিভিন্ন হোটেলে যাচ্ছেন।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জর ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন পর্যটকের চাপ কম থাকলেও আজ প্রচুর পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসছেন। সকাল থেকে শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এসব নৌযানে দুই হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।

বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা নুরে আলম জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রায় দুই হাজার পর্যটক এখানে ঘুরতে এসেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। আগামী কয়েকদিন পর্যটকদের চাপ আরও থাকবে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/এমএস