পানি উঠছে না নলকূপে, বিপাকে বাসিন্দারা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শত শত নলকূপ থেকে পানি উঠছে না। কয়েক হাজার নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, এখানকার নদীগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ শুকিয়ে গেছে। এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের সেচ কাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর, খামারপাড়া, সাপমারা, সাহেবগঞ্জ, মেরি ও তরফকামাল; কাটাবড়ী ইউনিয়নের মাহমুদবাগ, বাগদা, বাগদা কলনী ও বেলতলা; গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু, কাইয়াগঞ্জ, পরগয়রা, গুমানীগঞ্জ, ফুলপুকরিয়াসহ উপজেলার কামদিয়া, রাজাহার, শাখাহার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এসব গ্রামে নলকূপ স্থাপন করতে আগে ২০-৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৪০-৫০ ফুট নিচেও।

উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মোহন্ত জাগো নিউজকে বলেন, করতোয়া নদীর পাশে বাড়ি থাকার পরেও নলকূপে পানি পাচ্ছি না। নদীতে গোসল করলেও খাবার পানির জন্য যেতে হচ্ছে অন্য বাড়িতে। সামর্থ না থাকায় বসাতে পারছি না সাবমারসিবাল পাম্প।

আরও পড়ুন: মোবাইলে রিং বাজলেই চালু হবে নলকূপ

সাপামারা গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আগে যে স্তরে নলকূপ বসিয়ে পানি পাওয়া যাচ্ছিল এখন সে স্তর থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। আমার প্রতিবেশীদের বেশির ভাগ পরিবার পানি সংকটে রয়েছে।

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহা আলী জাগো নিউজকে বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর পানির স্তর আরও বেশি নেমে গেছে। এ কারণে এখন সাধারণ দূরত্বের তুলনায় আরও গভীরে নলকূপ স্থাপন করতে হচ্ছে।

আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।